
ঈদের নামাজের আরবি নিয়ত,ঈদের নামাজের নিয়ত আরবিতে,ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম,ঈদুল আযহার নিয়ত,ঈদুল আযহা নামাজ কিভাবে পড়তে হয়– জানার জন্য আপনারা যারা আমাদের এই পোস্টে প্রবেশ করেছেন আমি আপনাদের সবাইকে অন্তর থেকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম। ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে হাসি। ইসলামিক জীবনে মানুষেরা আনন্দ সব সময় স্বাভাবিক নিয়মে হয়ে থাকে। মনকে খুশি করার জন্য বা মনকে প্রফুল্ল করার জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা করেছেন ইসলাম। যে বিনোদন হল বছরের দুইটা ঈদ। একটি হল পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এবং অপরটি হল পবিত্র ঈদুল আযহা। আপনি যদি মুসলিম ধর্মের হয়ে থাকে এবং মহান আল্লাহতালা যদি আপনাকে সামর্থ্য দেন তাহলে আপনি বছরে দুই ঈদে দুইবার ওমরা হজ করতে পারবেন। মুসলিম ধর্মের হওয়াদের আনন্দকে উদযাপন করতে বা আনন্দকে সবার মাঝে বিলিয়ে দিতে ভাই ঈদের মাধ্যমে বা কোরবানির মাধ্যমে। সেজন্য আজ আমাদের এই পোস্টে আপনাদের জন্য শেয়ার করব ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম ও নিয়ত। আশা করি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম
ঈদের নামাজ পড়ার নিয়ম জানতে হলে আমাদের আজকের এই পোষ্ট টি আপনাকে সম্পূর্ণ করতে হবে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন ঈদের নামাজ ঈদগাহে পড়া সুন্নত। আপনি চাইলে ঈদের নামাজ কি জানো ছাড়াও যেকোনো বাসাবাড়িতে মসজিদের বা যেকোনো খোলা জায়গাতেও পড়তে পারেন কিন্তু সেটা অবশ্যই পড়তে হবে সবাই একসাথে জামাতে মাধ্যমে। এবং এছাড়াও আরো কিছু শর্ত রয়েছে সেগুলো নিচে আপনাদের জন্য দেওয়া হলো।
আরো দেখুনঃ- কোরবানি ঈদের শুভেচ্ছা বাণী ছন্দ বার্তা কার্ড ব্যানার এসএমএস মেসেজ ছবি পিকচার download
- পবিত্র জায়গা হতে হবে।
- কমপক্ষে জামায়াত তিনজনের হতে হবে।
- খুব ব্যস্ত বল কতবার পাঠ করতে হবে।
- সূর্য উঠার পর এবং দ্বি-প্রহরের আগে পড়তে হবে।
- তাহলে আমরা এখান থেকে বুঝলাম যে ঈদের নামাজ ঈদগাহে ছাড়া পড়া যাবে না কারণ আপনি বাসা বাড়িতে কোন সময় জামাত করে পড়তে পারবেন না।
ঈদের নামাজের নিয়ম
ঈদের নামাজ হলো এমনই একটি নামাজ জেন আমাদের কোন আযান ইকামত নেই। আপনি যদি ঈদের নামাজ পরতে ঈদগাহের বা মসজিদে কোনভাবেই যে কোন কারণবশত না দিতে পারেন তাহলে আপনি বাসায় পড়ে নিতে পারবেন। কিন্তু ঈদের নামাজ বাসায় পড়ার কোন নিয়ম নাই। যেহেতু আপনি সময়মতো যেতে পারেন না সেজন্য। যদি আপনি ঈদের নামাজ বাসায় করেন তাহলে ঈদের নামাজের মর্যাদা হারিয়ে যাবে। ঈদের নামাজ হলো জুম্মার নামাজের মতই উৎস আওয়াজ করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করা হয়। ঈদের নামাজ 6 তাকবীর এর সহিত পাঠ করতে হয়।
ঈদুল আযহা নামাজ কিভাবে পড়তে হয়
প্রথম রাকাতে আল্লাহু আকবার বলে হাত বেঁধে অতিরিক্ত তিনবার আল্লাহু আকবার তাকবীর দিয়ে মহান আল্লাহতালার উপর মনোনিবেশ করে সুরা ফাতেহা পাঠ করতে হবে।
ঠিক আবার আগের মতোই দ্বিতীয় রাকাতে সূরা মিলানোর পর অতিরিক্ত তিনবার তাকবীর সহকারে রুপিতে যেতে হবে।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ সহ
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত বাংলা উচ্চারণ জানতে হলে আপনাকে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন করতে হবে। তাহলে নিচে আপনাদের জন্য ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ত শেয়ার করা হলো।
ঈদের নামাজের আরবি নিয়ত | ঈদুল আযহার নিয়ত
পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের 2 রাকাত ওয়াজিব নামাজ অতিরিক্ত 6 তাকবীরের সাথে ইমামের পিছনে কেবলামুখী হয়ে আল্লাহর জন্য আদায় করছি আল্লাহু আকবার এই বলে আপনি নিয়োগ করতে পারেন।
- প্রথম রাকাত নামাজের তাকবীর তাহরিমা।
- নিয়ত করে মহান আল্লাহতালার উপর ভরসা করে আল্লাহু আকবার বলে হাত বাধা।
ঈদ উল আযহার নামাজের নিয়ম | ঈদের নামাজের নিয়ত আরবিতে
ঈদের নামাজে রুক, সিজদা, তাশাহুদ সবই আছে। শুধু মাত্র অতিরিক্ত ছয় তাকবির দিতে হয়। আপনি কীভাবে নামাজ আদায় করবেন তা একনজর দেখে নিন।
ঈদুল আযহার নামাজের নিয়ম
আমি ঈদুল আজহার দুই রাকাআত ওয়াজিব নামাজ ছয় তাকবিরের সহিত এই ইমামের পেছনে কিবলামুখী হয়ে আল্লাহর ওয়াস্তে আদায় করছি, এ নিয়ত মনে মনে স্থির করা বা মুখে বলা। এরপর তাকবিরে তাহরিমা ‘আল্লাহু আকবার’ বলে হাত বাঁধা এবং ছানা পাঠ করা।
ঈদের নামাজ কয় রাকাত
ছানা পাঠ করার পর ইমাম অতিরিক্ত ৩টি তাকবির দেবেন-এই তিন তাকবিরের সময় ইমাম ও মুক্তাদি উভয়হাত কান পর্যন্ত উঠাবেন এবং প্রথম ও দ্বিতীয় তাকবিরে হাত কান পর্যন্ত উঠানোর পর নিচে ছেড়ে দেবেন। তৃতীয় তাকবিরের সময় কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠিয়ে হাত ছেড়ে না দিয়ে হাত বাঁধবেন-এরপর ইমাম সূরা ফাতিহা ও কিরাআত শেষ করে যথারীতি রুকু ও সিজদা করার মাধ্যমে প্রথম রাকাআত শেষ করে পুনরায় দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় রাকাআতের কিরাত শেষ করবেন।
কোরবানি ঈদের নামাজের নিয়ম ও নিয়ত
এরপর রুকুতে যাবার আগে আবার অতিরিক্ত ৩ তাকবির দেবেন এভাবে যে-কান পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবির বলে হাত ছেড়ে দেবেন-এরপর চতুর্থ তাকবির তথা রুকুর তাকবির বলে সোজা রুকুতে চলে যাবেন-এরপর অবশিষ্ট নামাজ যথারীতি আদায় করে ছালাম ফিরাবেন-এরপর ইমাম সাহেব মিম্বরে ওঠে দুটি খুৎবাহ পাঠ করবেন।
ঈদুল আজহার নামাজের নিয়ত ও দোয়া
ঈদের গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও বরকত লাভের জন্য আল্লাহ তা’য়ালার কাছে প্রার্থনা করতে হবে। ইমাম সাহেব সবার জন্য পরম করুণাময় আল্লাহ তা’য়ালার কাছে দোয়া করবেন।